পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দুই সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ৩ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ৩ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা, আজগুবি, ভিত্তিহীন’ তথ্য দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. আবুল কালাম সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগের পক্ষ থেকে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়, তা পরিবহন খাতের নেতাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। সংগঠনটি সরকার থেকে নিবন্ধিত নয়। নামসর্বস্ব এই সংগঠনের সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকের সম্পৃক্ত নয়। চাঁদাবাজি করার জন্য তারা ওই সংগঠন তৈরি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনটির সদস্যসচিব ইসমাইল হোসেন ওরফে বাচ্চুর সঙ্গে যারা ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তাদের কেউই মালিক শ্রমিক নন। সবাই বহিরাগত। ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলার তথ্য সরবরাহ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এমনকি সেখানে উপস্থিত দুই নারী ইসমাইল হোসেনকে খুনি মন্তব্য করে তাঁর ফাঁসি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক নিরাপদ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে পরিবহন খাতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধসহ মোট ৯ দফা দাবি জানায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ। সংগঠনের সদস্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে বাচ্চু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোটা পরিবহন খাত এখন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর সহযোগীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। এই খাতে এখন একনায়কতন্ত্র চলছে। প্রতিদিন পরিবহন খাত থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। নিরীহ মালিক-শ্রমিকেরা সেখানে অসহায়।

জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না ভয়ে। আমি মুখ খোলার কারণে আমার ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে।’ তাঁর সংগঠন ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধিত একটি সংগঠন বলে জানান তিনি। আর মালিক শ্রমিক ঐক্য লীগের অনুমোদনের জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসমাইল হোসেন।