যুবলীগ নেতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল প্রশাসন

সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে ফুলের বাগান, বাংলো, দোকান ও ক্লাবঘর তুলে ছিলেন যুবলীগ নেতা। প্রশাসন সেটা উচ্ছেদ করেছে। তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়, ৩ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত
সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে ফুলের বাগান, বাংলো, দোকান ও ক্লাবঘর তুলে ছিলেন যুবলীগ নেতা। প্রশাসন সেটা উচ্ছেদ করেছে। তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়, ৩ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে গড়ে তোলা ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল হক বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁকে তেঁতুলিয়া মডেল থানা ও হাইওয়ে থানার পুলিশ সহযোগিতা করে।

ওই যুবলীগ নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।

আশরাফুল ইসলাম পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে মাঝিপাড়া এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়ক ঘেঁষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি, কবরস্থান ও খাসজমি দখল করেন। এরপর সেখানে ফুলের বাগান, বাংলো, দোকান ও ক্লাবঘর তুলে একটি ছোটখাটো পার্ক গড়ে তোলেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আশরাফুলকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশ পাওয়ার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই এই উচ্ছেদ অভিযান চালান হয়।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাস্তার পাশে মানুষের বিশ্রামের জন্য বাগানসহ একটি বাংলো করেছিলাম। সেখানে আমার নিজের চার শতক জমি আছে। বাকিটা জানাজা মাঠ। অল্প কিছু ফুলের গাছ সড়ক ও জনপদের জায়গায় গিয়েছিল।’

আশরাফুল দাবি করেন, তাঁকে নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ গাছপালাসহ সবকিছু ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি নোটিশ পেলে নিজেই সরিয়ে নিতেন। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মাসুদুল হক বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া জন্য আশরাফুলকে ছয় মাস আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি সেটা সরাননি। এ ছাড়া স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে তাঁকে মৌখিকভাবেও অনেকবার বলা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বলেন, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এ ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মুকিত, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জহুরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল্লাহ-হেল-বাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।