খালেদা জিয়ার মুক্তিতে কারও অনুকম্পা প্রয়োজন নেই: মির্জা ফখরুল

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ৩ অক্টোবর। ছবি: ইউএনবি
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ৩ অক্টোবর। ছবি: ইউএনবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্ত করা হবে উল্লেখ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁর মুক্তির জন্য কারও অনুকম্পার প্রয়োজন নেই।

খালেদাকে কারামুক্ত করতে নিজ দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানোর এক দিন পরই বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে এ কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপিপন্থী সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কারও অনুকম্পায় খালেদা জিয়া মুক্ত হতে চান না। তাঁর জামিন পাওয়ার ন্যায্য অধিকার রয়েছে এবং তিনি নিশ্চিতভাবেই জামিনে বেরিয়ে আসবেন। তিনি আরও বলেন, সরকার দীর্ঘ সময় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে পারবে না। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করে আনবে। এ সময় দেশে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করতে সর্বস্তরের জনগণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁর জামিনে মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান দলটির কয়েকজন সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদাকে দেখে আসার পর বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান ও রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, জামিন আদালতের এখতিয়ার হলেও ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হওয়ায় তাঁর মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তাঁরা। বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ বলেন, ‘আমরা সাতজন সংসদ সদস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনি নিজে একবার এসে খালেদা জিয়াকে দেখে যান। আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে আপনার মানবিকতাবোধ জাগ্রত হবে, আপনার তাঁর জন্য মায়া হবে।’ জি এম সিরাজ আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (খালেদা) একজন ‘‘রাজনৈতিক বন্দী’’ এবং তাঁর মুক্তির জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনি আমাদের নেত্রীর জামিনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আপনি আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় আমাদের নেত্রীকে ছেড়ে দিন, জামিনের ব্যবস্থা করে দিন।’

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী আছেন। গত ১ এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।