শুদ্ধি অভিযান আপন ঘর থেকেই শুরু: কাদের

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের বিরুদ্ধে নয়। এটি অপরাধী এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান। দুর্বৃত্তায়নের একটি চক্র বাংলাদেশে রয়েছে, এই চক্রটি ভেঙে দিতে হবে। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এই শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে আপন ঘর থেকেই।

আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উন্নয়নকাজ পরিদর্শনের এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান বিষয়ে আরও বলেন, ‘যাঁরাই অপরাধী, যেখানে অপরাধীরা থাকুন, সেটা ঢাকা হোক অথবা দেশের যেকোনো জায়গায় হোক, সারা বাংলাদেশের যেখানেই অপকর্মকারী, যেখানেই অপরাধী, যেখানেই দুর্বৃত্তায়ন, চাঁদাবাজি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি সেখানেই এই অভিযান চলবে।’ তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দিল্লি যাওয়ার আগেও বলে গিয়েছেন, এই শুদ্ধি অভিযান কোনো অবস্থায় শিথিল হবে না। এই অভিযান চলতেই থাকবে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও মুক্তির বিষয়ে বলেন, খালেদা জিয়া বয়স্ক হয়ে গেছেন, এই বয়সে একেবারে সুস্থ সবল তিনি থাকবেন এমন কথা নয়। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে চিকিৎসকদের একটি টিম আছে এবং একটি বোর্ড আছে। তাঁরা মাঝে মাঝেই পরীক্ষা করে দেখেন। অসুস্থতার বিষয়ে বিএনপি যা বলে, তার সঙ্গে চিকিৎসকদের রিপোর্টের কোনো মিল নেই। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এখানে যেমন মানবিক বিষয়টি দেখতে হবে, একইভাবে এখানে একটি আইনগত বিষয় রয়েছে। আইনগত বিষয়টি সরকারের হাতে নেই। এটা আমি বারবার বলেছি, বারবার বলার চেষ্টা করেছি।’

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া যদি আদালতে জামিন পান এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার মতো অবস্থা তাঁর হয় সেটা পরবর্তী সময়ে বিবেচনা করা যাবে। তবে বিএনপির দাবির সঙ্গে চিকিৎসকদের রিপোর্টের সংগতি নেই। বিএনপির এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তাঁরা বিবেচনার কথা বলেছেন।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার, সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ওসি মুজিবুর রহমান এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।