সেন্টমার্টিনে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ, আটক ২

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রাত ১০টার দিকে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, ওই আবাসিক হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক এমরান হোসেন (৫২) ও কর্মচারী রবিউল (৪৫)। শিশুটির বরাত দিয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ প্রথম আলোকে বলেছেন, শিশুটির মূল অভিযোগ এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে।

ওই শিশুর বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, এমরান হোসেন কৌশলে ডেকে শিশুটিকে হোটেলের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর এমরান শিশুটির মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে একটি ড্রামের মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যায়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে ওই ব্যক্তি শিশুটিকে বের করে দিয়ে হোটেলের সীমানা প্রাচীরের প্রধান ফটকে ভেতর থেকে তালা মেরে দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, উদ্ধারের পর শিশুটিকে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এখন পর্যটন মৌসুম না হওয়াই ওই আবাসিক হোটেলে অন্য কোনো লোক থাকে না। ঘটনা শোনার পরপরই তিনি তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশকে অবহিত করেছেন।

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আজমীর ইলাহী প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় কিছু লোক রাত আটটার দিকে ওই শিশুকে থানায় আনে। বিষয়টি শোনামাত্র অন্য পুলিশসদস্য তিনি সেখানে যান। কিন্তু প্রধান ফটকটি তালাবদ্ধ থাকায় কোনোভাবে হোটেলে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। এরপর দীর্ঘ চেষ্টা শেষে হোটেলে প্রবেশ করা হয়। হোটেলের ভেতর থেকে মূল অভিযুক্ত এমরান হোসেনসহ ওই দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলছে। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।