ভান্ডারিয়ায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৩

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় নিজ বাড়িতে বিউটি বেগম (৪২) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামীসহ তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে ।

আটক তিনজন হলেন ফিরোজ আলম (৫০), তাঁর প্রতিবেশী মো. আল আমিন (৩০) ও মো. আলম হাওলাদার (৪৮)। নিহত বিউটি বেগমের ছয় সন্তান রয়েছে।

পুলিশ, হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিউটি বেগম শৌচাগারে যান। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিউটি বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহত বিউটি বেগমের স্বামী ফিরোজ আলম ও তাঁদের প্রতিবেশী মো. আল আমিন এবং মো. আলম হাওলাদারকে আটক করেছে।

বিউটি বেগমের স্বামী ফিরোজ আলমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফিরোজ আলম ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। বিউটি বেগমের ছয় সন্তানের মধ্যে তিন সন্তান নানির কাছে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ আলম পুলিশকে জানান, রাতে তাঁর স্ত্রী শৌচাগারে যান। তখন কয়েকজন লোক তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন।

ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলাল হোসেন বলেন, গতকাল রাত তিনটার দিকে বিউটি বেগমকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ঘাড়সহ শরীরে ১০ থেকে ১২টি ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। ডান পায়ের রগ কেটে গেছে।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, আজ সকালে বিউটি বেগমের লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিউটি বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বিউটি বেগমের স্বামীসহ দুই প্রতিবেশীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।