হোল্ডিং নম্বর দিতে হয়রানি, ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযান

দুদক
দুদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪ নম্বর জোনে হোল্ডিং নম্বর দিতে হয়রানির অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে আজ সোমবার সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে একটি দল ডিএনসিসির মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থিত ৪ নম্বর জোন কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

দুদক জানিয়েছে, এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন আগে হোল্ডিং নম্বরের জন্য আবেদন করলেও তাঁকে হোল্ডিং নম্বর না দিয়ে নির্ধারিত ফির বাড়তি টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে হয়রানি করা হচ্ছে। অভিযান চলাকালে দলটি জেনেছে, প্রায় আড়াই মাস আগে অভিযোগকারীর আবেদন নেওয়া হলেও তা প্রক্রিয়াকরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আটকে রাখা হয় নথি। দুদক দলের অভিযানের ভিত্তিতে হোল্ডিং নম্বর প্রদানসংক্রান্ত চিঠি বিতরণের দায়িত্বে থাকা উপ-কর কর্মকর্তাকে গাফিলতির ব্যাখ্যা চেয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়। এ ছাড়া দুদক দলের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগকারীর আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়।

‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের অধীন সাভারের বিভিন্ন এলাকার গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে সেখানে আরেকটি অভিযান চালিয়েছে দুদক। সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দলটি জানতে পারে, ওই প্রকল্পের অধীন ৩০০ ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত খুঁটি বা পিলারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা রড ব্যবহারের প্রমাণ পায় দুদক দল। এ ছাড়া নির্মাণে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রীও নিম্নমানের মর্মে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দুদকের কাছে প্রতীয়মান হয়। দুদক দলটি তাদের পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওই সব বাড়ি নির্মাণে যথাযথ মান বজায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করে।

ভুয়া নাম ও ভাউচার ব্যবহার করে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার টিডিপির প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুদক দলটি দেখতে পায়, প্রশিক্ষণ বাবদ প্রশিক্ষণার্থীদের যে ভাতা দেওয়া হয়, তা কাগজে-কলমে ৬৪ জন গ্রহণ করলেও বিভিন্ন ব্যক্তির নাম একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। দলটি দেখেছে, কমসংখ্যক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অবশিষ্টদের ভাতা ভুয়া নাম ব্যবহার করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণসংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী দল।

এ ছাড়া মেহেরপুর সরকারি গ্রন্থাগারে বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবং মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রদানে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে মেহেরপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে দুটি আলাদা অভিযান চালানো হয়।