দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক টিআইবির সমঝোতা

দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক সই করার পর তা বিনিময় করছেন দুদকের মহাপরিচালক ( প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: দুদকের সৌজন্যে।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক সই করার পর তা বিনিময় করছেন দুদকের মহাপরিচালক ( প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: দুদকের সৌজন্যে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ–সংক্রান্ত কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও গতিশীল করার লক্ষ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ–সংক্রান্ত কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য সমঝোতা চুক্তি সই করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ সোমবার সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে সংস্থা দুটি।

দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে দুদকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ এবং টিআইবির পক্ষে এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং টিআইবির মধ্যে সমঝোতা স্মারক ছাড়াও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। টিআইবি দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে, আর দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার উভয় কাজই করে। তৃণমূল পর্যায়ে টিআইবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সনাক, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সততা সংঘের সদস্যরাও কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যেও নিবিড় সমন্বয় রয়েছে।

দুদক সচিব বলেন, কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে আইনি দায়িত্ব পালন করছে। এই দায়িত্ব পালনে জনসম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও কার্যকর করার লক্ষ্যে জনগণের মতামত গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কমিশন। সমাজের সর্ব স্তর থেকে দুর্নীতির প্রতিরোধে দুদককে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই সহযোগিতা করলে কার্যকরভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দুদকের সঙ্গে টিআইবির আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, টিআইবি শুধু দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে, অন্যদিকে দুদক প্রতিরোধ ও দমন দুটি কাজই করে। দুদক এবং টিআইবির লক্ষ্য এক, কিন্তু ম্যান্ডেট ভিন্ন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমানে দুদক আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়। এ জন্য বর্তমান কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা বাস্তবায়নে দুদকের সক্রিয়তার কোনো বিকল্প নেই।

দুর্নীতি প্রতিরোধ–সংক্রান্ত কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ১ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।