জুরাইনে যুবকের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

রাজধানীর জুরাইনে রহিম বাদশা ওরফে হৃদয় (২৩) নামের এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

রহিম বাদশা মামার মুদিদোকানে কাজ করতেন। জুরাইন আলম মার্কেট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাবা শফিক হিটলারের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে রহিম বাদশা ছিলেন বড়। দুই বছর আগে বিয়ে করেন তিনি।

রহিম বাদশার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁদের বাসার কয়েকটি বাড়ির পরই একটি চারতলা ভবনের ছাদে তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধর করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, ওই বাসার ছাদে এলাকার কিছু ছেলে মাদকজাতীয় দ্রব্য সেবন করত। বাড়ির মালিক আসছে শুনে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে রহিম বাদশা ও সজীব নামের দুই যুবক আহত হন। এর মধ্যে রহিম বাদশার অবস্থা ছিল গুরুতর। পরে আশপাশের লোকজন রহিম বাদশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখান থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সজীব স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন দিবাগত রাত দুটায় কলাবাগানের গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠান। তিনি বলেন, হৃদয়ের মুখের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলানো জখম ছিল। এ ছাড়া তাঁর হাতের আঙুলে জখম ছিল।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনেরা লাশ নিয়ে যান। মৃত যুবকের খালা সালমা বেগম বলেন, ‘মৃত্যুর সংবাদ শুনে এসেছি। তবে কেউ ফেলে দিয়েছে, না পড়ে গেছে, তা এখনো জানতে পারিনি।’

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান এসআই কবির হোসেন।