আবরার হত্যার প্রতিবাদে চবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

আবরার হত্যার বিচার দাবিতে চবি ছাত্রীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বরে, ৯ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
আবরার হত্যার বিচার দাবিতে চবি ছাত্রীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বরে, ৯ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীরা। মানববন্ধনে ছাত্রীরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসের শামসুন নাহার হল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ছাত্রীরা হল থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে দুই ঘণ্টা মানববন্ধনে তাঁরা আবরার ফাহাদ হত্যায় ক্ষোভ জানান।

এ সময় হাতে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে আবরার হত্যার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। ছাত্রীদের হাতে ‘যদি তুমি চুপ থাকো তবে তুমি বেশ, যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলো তবে তুমি শেষ’, ‘জেগে ওঠো চবিয়ান, যায় যদি যাক প্রাণ’ ও ‘ভারতীয় আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে’ লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এসবের পাশাপাশি ছাত্রীরা মুখে তালা ও কালো কাপড় পরে হত্যার প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধনে ছাত্রীরা বলেন, ফেসবুকে লেখালেখির জেরে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। এটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। খুনিরা পার পেয়ে গেলে এই অন্যায় থামবে না।

গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করা হয়। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ১১ জনকে বুয়েট শাখা কমিটি থেকে বহিষ্কার করেছে। আর বুয়েট প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের এই দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছাত্রীদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার পর তাঁরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ করেছেন।