বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো কনসেনট্রেশন ক্যাম্প: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গোটা দেশকে এখন একটি টর্চার সেলে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এখন কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। ছাত্র-যুবক-আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই এখন আওয়ামী লীগের টর্চার সেলের নির্মম শিকার।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

আজ রিজভীর বক্তব্যের বেশির ভাগ অংশজুড়ে ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা প্রসঙ্গ। গত রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কয়েকজন নেতা।

রিজভী বলেন, আবরার হত্যার পর দেশের ক্যাম্পাসগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে। সরকার ছাত্রদের নিরস্ত করার জন্য নানা ছল–চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে। সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। যে কারণে আবরারকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার।

রিজভী বলেন, ‘আবরারের স্ট্যাটাসের পেছনে কারণই ছিল দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা ও সত্য ইতিহাস তুলে ধরা। আর দেশবিরোধী চুক্তিটি করেছেন বর্তমান মিডনাইট ভোটের সরকার জনগণের সঙ্গে দিনেদুপুরে প্রতারণা করে। সুতরাং আবরার খুনের দায় সরকারও এড়াতে পারে না। দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল ছাড়া আবরারের আত্মা শান্তি পাবে না।’

রিজভী বলেন, আজ একদিকে বাংলাদেশের পক্ষের জনগণ আর অপরদিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ, হাতুড়ি লীগ সরকারি লীগের সন্ত্রাসীরা। এই সন্ত্রাসীরা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সন্ত্রাসীদের কাছে নিজ দেশের স্বার্থ বড় নয়। তাই বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে কথা বলতে চায়, লিখতে চায় তাদের বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসীদের এত ক্ষোভ।

রিজভী বলেন, আবরার ফাহাদের নির্মম মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি ক্ষমতাসীনদের খুনের সংস্কৃতির ধারাবাহিক চর্চার একটি অংশ মাত্র।