কুষ্টিয়ায় বুয়েট ভিসি, রায়ডাঙ্গা গ্রামে র্যাব-পুলিশ মোতায়েন

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রায়ডাঙ্গা গ্রামে। ছবি: তৌহিদী হাসান
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রায়ডাঙ্গা গ্রামে। ছবি: তৌহিদী হাসান

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়া গেছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যাবেন তিনি।

রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন ভিসি। আবরারের কবর জিয়ারত করবেন। এ খবরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রায়ডাঙ্গা গ্রামে। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশেপাশের এলাকায় অসংখ্য র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নিয়েছেন।

গত রোববার রাত আটটায় বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা হলের প্রাধ্যক্ষ জানেন রাত পৌনে তিনটায়। কিন্তু এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য সেখানে যাননি পরপর প্রায় দুই দিন। এমনকি শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তাঁদের সামনে আসেননি উপাচার্য। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলন করার পর তাঁদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সামনে এলে তিনি তোপের মুখে পড়েন।

এ অবস্থায় রাতে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন উপাচার্য। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আজকে সুনির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি, পরবর্তীতে ৩৮ ঘণ্টা পর উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘বিরূপ আচরণ’ করেন এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থানত্যাগ করেন, উপাচার্যকে আজ দুপুর দুইটার মধ্যে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে এর জবাবদিহি করতে হবে।