গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তেলো গ্রামের চম্পা বেগম নামের এক গৃহবধূকে গত বুধবার রাতে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা গেছে, তেলো গ্রামের শাহীন আলী (৩২) তাঁর তৃতীয় স্ত্রী চম্পা ও বাবা-মাকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। গত বুধবার রাতেও খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁরা ঘুমাতে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শাহীনের এক বোন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন সব ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ। একপর্যায়ে শাহীনের ঘরের দরজা খুলে চম্পার (২৪) গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
প্রতিবেশী দুদু মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, চম্পা শাহীনের তৃতীয় স্ত্রী। মাত্র পাঁচ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। চম্পার বাবার বাড়ি একই উপজেলার বনপাড়া গ্রামে।
শাহীনের বোন মিনা বেগমের বিয়ে হয়েছে তোলা গ্রামে। তিনি বলেন, তাঁর ভাইয়ের প্রথম স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরে শাহীন স্বামী পরিত্যক্ত চম্পাকে বিয়ে করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় চম্পার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।