ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ খুঁজতে প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরে যাবেন দুদকের কর্মকর্তারা: ইকবাল মাহমুদ

সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান, খুরশীদ আলম খানসহ অতিথিরা। ছবি: দুদকের সৌজন্যে।
সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান, খুরশীদ আলম খানসহ অতিথিরা। ছবি: দুদকের সৌজন্যে।

ক্যাসিনো–কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের পাচার করা অর্থ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর যাবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অর্থ পাচারসংক্রান্ত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দ্য অ‌্যান্টি করাপশন কমিশন অ্যাক্ট অ্যান্ড মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন অ্যাক্ট উইথ সাম আদার রিলেটেড ল’জ রিগার্ডিং ফিন‌্যান্সিয়াশাল ক্রাইমস’ শীর্ষক বইটি লিখেছেন সুপ্রিম কোর্টে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্যাসিনো ব‌্যবসায় কারা কারা জড়িত সে নামগুলো তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করতে চাই না। জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে পাওয়া প্রতিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, এ ধরনের বই দুদক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে। মামলা তদন্তের সময় এবং আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই বইয়ের রেফারেন্স এবং পর্যবেক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া দুর্নীতি নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁদের জন্য বইটি যথেষ্ট সহায়ক হবে।

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, কমিশনের মামলার তদন্ত একটি বহুমাত্রিক তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। এই বইয়ের পর্যবেক্ষণগুলো সঠিকভাবে আত্মোৎপলব্ধি করা হলে তদন্ত কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে এবং সার্বিকভাবে চূড়ান্ত রায় কমিশনের অনুকূলে আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বইয়ের লেখক খুরশীদ আলম খান ও দুদকের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ প্রমুখ।