খুলনায় হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার সরকারি বিএল কলেজের ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল ওরফে শিপলু মোল্লা হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ আসামির মধ্যে ১২ জনই খালাস পেয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন দুই ভাই আরিফ শেখ ও রহমত। খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আমির হোসেন শেখ, মো. কাশেম, আবু হানিফ, ইউসুফ, জসিম, জুয়েল, আবুল হোসেন, আবুল হাসান, গোলাম মোস্তফা, মো. শহিদুল ইসলাম, এনামুল ইসলাম ও ছোট বাবু।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২০ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা নগরের দৌলতপুরের দেয়ানা উত্তরপাড়া হাসপাতাল মোড়ে নৃশংসভাবে ফয়সালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। হাতের কবজি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ওই ঘটনায় ২১ জুন রাতে ফয়সালের বাবা ফারুক হোসেন মোল্লা একই এলাকার আমির হোসেনের ১০ ছেলেসহ তাঁদের চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম ও এনামুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন।

আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়। ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ আদালতে ওই মামলার অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক শেখ আবু বক্কার সিদ্দিক। অভিযোগপত্রে ওই ছেলেদের বাবা আমির হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৪ জনকে আসামি করা হয়। প্রায় দেড় বছর মামলা চলার পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন ফয়সালের পরিবারের সদস্যরা। ফয়সালের চাচা মো. কবির হোসেন মোল্লা খুলনা মহানগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। রায়ের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবার সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে শিপলুকে হত্যা করা হয়েছে। যে দোকানের সামনে ওই ঘটনা ঘটেছে, ওই দোকানদারসহ সেখানে থাকা ছয় থেকে সাতজন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও এমন রায় হতাশার।’ পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি জানান।