পান করার পানি চাইলে তা না দিলে কেমন দেখায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে তাঁর সাম্প্রতিক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং ভারত সফর বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। গণভবন, ঢাকা, ৯ অক্টোবর। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে তাঁর সাম্প্রতিক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং ভারত সফর বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। গণভবন, ঢাকা, ৯ অক্টোবর। ছবি: ফোকাস বাংলা

ফেনী নদীর পানি ভারতে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ পান করার জন্য পানি চাইলে তা না দিলে কেমন দেখায়। ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের একটি এলাকায় সামান্য পানি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় প্রাকৃতিক গ্যাস নয় এলপিজি রপ্তানি করা হবে।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

ভারতে গ্যাস রপ্তানি চুক্তি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়িতে। এটা ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি নদী। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। ত্রিপুরার সাবরুম এলাকার মানুষ খাবার পানির জন্য ভু-গর্ভস্থ থেকে পানি তোলে। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। তাই সামান্য পানি তাদের দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের খাবার পানির জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যে পানি দেওয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত নগণ্য। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আর আমরা যদি না দিই এটা কেমন দেখায়। আমাদের তো আরও সীমান্তবর্তী নদী আছে। সেটাও তো আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

ত্রিপুরায় গ্যাস রপ্তানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে গ্যাসটা দিচ্ছি সেটা এলপিজি বা বটল গ্যাস। যেটা আমরা আমদানি করছি এবং নিজেদের দেশে সরবরাহ করছি এবং সেই গ্যাসই কিছু ত্রিপুরায় দিচ্ছি।’

গ্যাস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করার জন্য আমেরিকান কিছু কোম্পানি ও তাদের রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তখন রাজী না হওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেননি। বিএনপি-জামায়াত জোট গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ত্রিপুরা যদি কিছু দিতে চায় তাহলে কিছু দিতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ত্রিপুরায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ত্রিপুরাবাসী তাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ত্রিপুরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটা ঘাঁটি ছিল। ত্রিপুরা বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটা শক্তি ছিল। তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আমাদের সব সময় আছে এবং সেটা থাকবে।’

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে যত বন্দর আছে সেটা সব দেশ নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে। কেউ বন্দর বানিয়ে একা একা ব্যবহার করে না।