দুদক চেয়ারম্যান-র‍্যাব ডিজির বৈঠকে ক্যাসিনো সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়

ইকবাল মাহমুদ (বাঁয়ে) ও বেনজীর আহমেদ
ইকবাল মাহমুদ (বাঁয়ে) ও বেনজীর আহমেদ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় করেছে। আজ বুধবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদের মধ্যে এক বিশেষ বৈঠকে এসব তথ্য বিনিময় হয়।

দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করেন দুদক চেয়ারম্যান ও র‍্যাব ডিজি। বৈঠকে দুদকের কাছে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে পাওয়া বেশ কিছু গোয়েন্দা তথ্য হস্তান্তর করেছেন র‍্যাব ডিজি। দুদকও এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য র‍্যাব ডিজিকে দিয়েছে।

দায়িত্বশীল সূত্রটি জানিয়েছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনো কারবারিদের সম্পর্কে বেশ কিছু গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় হয়। চলমান অভিযানে এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানের মধ্যে একান্ত আলোচনায় সামনের দিনগুলোতে তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং দুজন এ বিষয়ে একমত হন। সূত্র জানিয়েছে, সামনের দিনগুলোতে দুটি প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক তফসিলভুক্ত অপরাধের বিষয়ে একে অন্যকে সহায়তা করবে। দুই সংস্থার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় হবে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করে র‍্যাব। দেশের নামকরা বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন যুবলীগের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা। বিপুল অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেক রাঘববোয়ালের নামও এসেছে। গ্রেপ্তার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য উদ্‌ঘাটন করার কথা গণমাধ্যমে এসেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। প্রায় দুই ডজন ব্যক্তির নামে অনুসন্ধান করছে দুদক। সূত্রের তথ্যমতে, দুদক চেয়ারম্যান ও র‍্যাব ডিজির বৈঠকে চলমান অভিযানে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন ক্যাসিনো মাফিয়ার বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য র‍্যাব থেকে পেয়েছে দুদক। দুদক মনে করছে, এ বৈঠকের ফলে র‍্যাবের অভিযানে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং পলাতক আছেন তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে অগ্রগতি হবে।