ফরিদপুরে হত্যার দায়ে ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আইন ও বিচার
আইন ও বিচার

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের পিকআপের চালক কেরামত হাওলাদার হত্যা মামলায় সাত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাকিম সেলিম মিয়া এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় সাত আসামির মধ্যে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন তোফা মোল্লা, পলাশ ফকির, সিদ্দিক খালাসি, এরশাদ মাতুব্বর ও আনোয়ার মোল্লা। পলাতক দুই আসামি সুরুজ ওরফে সিরাজুল এবং নাঈম মাতুব্বরের অনুপস্থিতিতে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় কড়া নিরাপত্তায় গ্রেপ্তার করা আসামিদের আদালতের এজলাস কক্ষে আনা হয়। রায় ঘোষণার পর আবার কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুলাল চন্দ্র সরকার এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

অপর পক্ষে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করবেন।

২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর কেরামত হাওলাদার রাতের খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যান। পরদিন সকালে তাঁকে আর ওই কক্ষে পাওয়া যায়নি। সকাল ১০টার দিকে তাঁর লাশ স্থানীয় দীঘলকান্দা বিল থেকে গলা এবং পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে ওই বছর ১৫ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুরের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল হোসেন মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে তোফা মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে মনিরুল হোসেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সাতজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত মর্মে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।

আদালত আজ পর্যবেক্ষণে বলেন, হত্যা মামলার ৩০২/৩৪ ধারাটি বাদীপক্ষ এবং সাক্ষীরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো।