আবরার হত্যা: সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে মানবাধিকার কমিশন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা শুরু থেকেই পর্যবেক্ষণ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ হত্যা মামলার বিচার দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নবগঠিত কমিশনের প্রথম সভায় এ আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।

বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার। ৬ অক্টোবর গভীর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

মানবাধিকার কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ কারওয়ান বাজারে কমিশনের কার্যালয়ে সভার শুরুতে বর্বর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা প্রকাশের পাশাপাশি আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। আবরারের স্বজনদের প্রতি কমিশনের সবাই সমবেদনা প্রকাশ করেন। সভায় আবরার হত্যার ঘটনায় কমিশনের করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আবরার হত্যা মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য কমিশনের দুজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। এতে উপস্থিত ছিলেন সার্বক্ষণিক সদস্য কামাল উদ্দিন আহমেদ, অবৈতনিক সদস্য তৌফিকা করিম, মিজানুর রহমান খান, জেসমিন আরা বেগম, নমিতা হালদার। রাঙামাটি থেকে অবৈতনিক সদস্য চিংকিউ রোয়াজা অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন।

সভায় চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, আবরার হত্যার শুরু থেকেই কমিশন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করে আসছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা ও বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় বক্তব্যকে কমিশন স্বাগত জানায়। আর যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য আবরারের হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানোর বিষয়ে কমিশনের সবাই একমত প্রকাশ করেছেন।