বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ইফতি মোশাররফ

আসামি অনিক সরকারের সঙ্গে ইফতি মোশাররফ (ডানে)। ছবি: প্রথম আলো
আসামি অনিক সরকারের সঙ্গে ইফতি মোশাররফ (ডানে)। ছবি: প্রথম আলো

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি। তাঁর নাম ইফতি মোশাররফ। তিনি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বুয়েট ছাত্রলীগের উপসমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন ইফতি মোশাররফ। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ইফতি।

আদালত সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইফতিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে চান আসামি ইফতি মোশাররফ। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি ইফতি মোশাররফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মাযহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি ইফতি মোশাররফ।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। রোববার রাত আটটার দিকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। অভিযোগ আছে, পরে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম, ইফতি মোশাররফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমান, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

* আসামি ইফতি মোশাররফের জবানবন্দি বিস্তারিত পড়ুন শুক্রবার প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে