অভিযানের মধ্যেও ইলিশ ধরা চলছে

চাঁদপুর, হাইমচর ও মতলব উত্তরে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জালসহ দুই মণ ইলিশ জব্দ করা হয়। ছবি: মৎস্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
চাঁদপুর, হাইমচর ও মতলব উত্তরে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জালসহ দুই মণ ইলিশ জব্দ করা হয়। ছবি: মৎস্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে প্রশাসনের ব্যাপক অভিযানের মধ্যেও বন্ধ নেই ইলিশ ধরা। আজ শনিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর, হাইমচর ও মতলব উত্তরে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জালসহ দুই মণ ইলিশ জব্দ করা হয়। এ সময় হাইমচর এলাকায় মেঘনা নদী থেকে আটক করা হয় ছয় জেলেকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব জেলেকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৎস্য অধিদপ্তর ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আসাদুল বাকীর নেতৃত্বে ও ঢাকার মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুই মণ ইলিশ জব্দ করা হয়। এ সময় তিনটি নৌকা থেকে ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে জেলেরা পালিয়ে যান। জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় একটি মৎস্য হিমাগারে রাখা হয়।


এদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার জানান, কাজির বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ করা ইলিশ পরে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মুরশিদুল আলম জানান, তাঁর নেতৃত্বে মতলব উত্তরের এখলাসপুর এলাকায় মেঘনা নদীর ওপর মাছ ধরার নৌকা থেকে আট হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।