একসময়ে আ.লীগের বিরুদ্ধাচরণকারীরা নানাভাবে পদ পেয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, উইপোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে। জনগণের সামনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে হবে। একসময় যাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতেন, তাঁরা নানাভাবে পদপদবি পেয়েছেন।

আজ শনিবার কক্সবাজার সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। এক প্রেস বিঞ্জপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এখন সবাই আওয়ামী লীগ হতে চান, সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চান। সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। যেসব অনুপ্রবেশকারী ইতিমধ্যেই ঢুকেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাঁরা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতেন, তাঁরাও এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চান।

হাছান মাহমুদ বলেন, একসময় যাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতেন, তাঁরা নানাভাবে পদপদবি পেয়েছেন। এ আবর্জনা সম্মেলনের আগেই পরিষ্কার করতে হবে। পরীক্ষিত নেতা–কর্মীরাই পদপদবির দাবিদার।

দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তাই মাদক নির্মূলে দলের সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের কারণে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায়। দল আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছে। কিছু মানুষের কারণে আমাদের দলের দুর্নাম হতে পারে না।’ তাই এ ব্যাপারে দলের সব নেতা–কর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার, আশেক উল্লাহ, নারী সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমেদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক, সাবেক সাংসদ এথিন রাখাইন প্রমুখ।

জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা শেষে হাছান মাহমুদ রামু আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভা ও সাংসদ সাইমুম সরওয়ারের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মরণে দোয়া ও মেজবানে যোগদান করেন।