সাংগঠনিক রাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংগঠনিক রাজনীতি চলবে কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ শনিবার চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে চলে, তারা তাদের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এবং বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিটি তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক রাজনীতি চলবে না বন্ধ হবে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।

‘বুয়েটে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে হয়তো অপরাজনীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সবকিছু একটি ভূমিকা পালন করেছে’ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগিং, বুলিংয়ের অপসংস্কৃতি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এগুলো বন্ধ করার ক্ষেত্রে বুয়েটের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক আগে থেকেই যদি উদ্যোগ নিতেন, তাহলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত না।

মন্ত্রী বলেন, সব ক্ষেত্রে রাজনীতিকে দোষ দিলে হবে না। রাজনীতি ছাড়া দেশ চলে? আপনি যা কিছু করবেন, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই চলে। কিন্তু রাজনীতিটা যেন সুষ্ঠু হয়, সুস্থ ধারার হয়। রাজনীতিকে যেন কেউ ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কোনো অপকীর্তি করতে না পারে, সে জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদেরও একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল।

পরে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চারদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এখন তারা মরণকামড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সে জন্য আমাদেরকেও প্রতি মুহূর্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, আমাদের সেই কাজে সহযোগিতা করতে হবে। সে জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।