দীপন হত্যার বিচার শুরু

ফয়সল আরেফীন দীপন। ফাইল ছবি
ফয়সল আরেফীন দীপন। ফাইল ছবি

প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ রোববার এ আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার পারভেজ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র বলছে, এই মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এই মামলায় পলাতক দুই আসামি জঙ্গিনেতা চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এর আগে গত ১৯ মার্চ প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মেজর জিয়া ও আকরাম ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও মো. আবদুস সবুর ওরফে সামাদ।

আসামিরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা বা সদস্য। এর মধ্যে মেজর জিয়া এই গোপন সংগঠনের কথিত সামরিক শাখার প্রধান। তাঁকে ধরিয়ে দিতে এর আগে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর। অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ জিয়াউল হক।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতী প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন প্রায় একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। দুই ঘটনায়ই আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা জড়িত বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: