জামিন পেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকা, ১৩ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকা, ১৩ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ রোববার এই আদেশ দেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে জামিন দেন।

এর আগে পল্লবী থানা-পুলিশ হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। পুলিশ আদালতের কাছে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ইসহাক মিয়ান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসন, র‍্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার বিষয়ে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট তথ্য ই-মেইল করেন, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। জিজ্ঞাসাবাদে মুহম্মদ ইসহাক জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, পলাতক আসামি এম সরোয়ারসহ আরও অনেকে জড়িত আছেন। এই ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এ সময় হাফিজ উদ্দিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, আসামি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অসুস্থ। এই মামলার ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এরপর আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে হাফিজ উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪-এর এক উপপরিদর্শকের করা মামলায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় কর্নেল (অব.) মো. ইসহাক মিয়ান নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সমন্বয়কারী ছিলেন।