আপাতত ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না রাসেল, হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে স্থগিত

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হাইকোর্ট গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইনের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

ফলে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে রাসেলকে বাকি ৪০ লাখ টাকা গ্রিন লাইনকে আপাতত দিতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি না হওয়া এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের ধারাবাহিকতায় গত মার্চে হাইকোর্ট রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে এবং প্রয়োজন হলে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য খরচ বহন করতে গ্রিন লাইনকে নির্দেশ দেন।

এরপর গত ২৫ জুন অর্থ কমানো ও কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ চেয়ে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ৫০ লাখ টাকার মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে গ্রিন লাইনকে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ, যা গত ১৭ জুলাই চেম্বার আদালত ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনটি ১৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। অবশ্য, এর আগে হাইকোর্টে শুনানিতে গত ২৯ জুলাই রাসেলের হাতে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন গ্রিন লাইনের আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।
আজ আপিল বিভাগে গ্রিন লাইনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট গত ২৫ জুন গ্রিন লাইনকে মাসিক ৫ লাখ টাকা করে কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করা হয়। আপিল বিভাগ কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের আদেশ স্থগিত করেছেন। এর মধ্যে দুই কিস্তিতে দেওয়া ১০ লাখ টাকা বাদ যাবে।

রাসেল একটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ি চালাতেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারান তিনি। রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৪ মে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে রাসেল সরকারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।