উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য বাড়ছে: মেনন

রাশেদ খান মেনন
রাশেদ খান মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এর পাশাপাশি আমাদের দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় লোকের কাছে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। যার ফলে উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

সিলেট জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেনন। আজ রোববার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

মেনন বলেন, ‘আগে দেশের ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত, এখন ২১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আমাদের ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। বর্তমানে মুষ্টিমেয় লোকেরা যেসব সম্পদ উপার্জন করেছে, সেগুলো দুর্নীতি, ঋণখেলাপি ও বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে অর্জন করেছে। আর এসবে প্রশ্রয় এসেছে ক্ষমতা থেকে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে সুশীল সমাজ থেকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীরা লাভবান হবে। তারা দেশের সম্প্রীতিকে নষ্ট করে ফেলবে। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডÐনিয়ে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা এ ঘটনার ওপর ভর করতে চায়।

মেনন বলেন, ‘ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে পানিচুক্তিতে মাত্র ১ কিউসেক পানি দেওয়া হয়েছে। এই পানি আমাদের ওয়াসার বিভিন্ন নর্দমা দিয়ে নদীতে পড়ে। সরকার ১০ বছরে তিস্তার পানি আনতে পারেনি সেটি সত্য, কিন্তু বিএনপি সরকারও ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, সে সময় তারাও তো পানি আনতে পারেনি। ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, রপ্তানি হবে বিদেশ থেকে আনা এলপিজি গ্যাস।’

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পরে সংগঠনের প্রয়াত নেতাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শোক প্রস্তাব এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইন্দ্রানী সেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস।
সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীনবন্ধু পাল, ইব্রাহিম মিয়া, গণতান্ত্রিক পার্টি সিলেটের সভাপতি আরিফ মিয়া, সিপিবি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আদিবাসী নেতা দানেশ সাংমা, যুবনেতা আবদুল্লাহ খোকন, আলমগীর হোসেন, কাজী আলফাজ হোসেন প্রমুখ।