আট লাখ টাকা লুট করতে মা-মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

গ্রেপ্তার রাইজ উদ্দিনের বাসা থেকে লুট করা ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার রাইজ উদ্দিনের বাসা থেকে লুট করা ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বন্ধুর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে রাইজ উদ্দিন জানতেন, ওই বাড়িতে রাখা আছে অনেক টাকা। সেই টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে বন্ধুর বাসায় যান তিনি। বাসায় ঢুকে প্রথমে বন্ধুর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলায় ছুরি মেরে হত্যা করেন। এরপর বন্ধুর পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকেও হত্যা করে আট লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পালিয়ে থাকতে পারেননি তিনি, গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের হাতে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গত শনিবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের ভাল্লুককান্দি এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাইজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এসব তথ্য স্বীকার করেন রাইজ উদ্দিন। গতকাল রাতেই রাইজ উদ্দিনের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর বাড়ির মুরগির খোঁয়াড় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ঘরের ভেতর থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বন্ধু আল–আমিনের বাসায় যাতায়াতের সুবাদে বাসায় রাখা টাকার কথা আগে থেকেই জানতেন রাইজ উদ্দিন। সেই টাকা লুট করার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার আল–আমিনের বাসায় যান রাইজ। বাসায় ঢুকেই প্রথমে আল–আমিনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাকী বেগমকে (২২) গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ সময় তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে আলিফা এগিয়ে এলে তাঁকেও গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে আলমারিতে রাখা ব্যাগ থেকে আট লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধারের পর বন্ধুকে সান্ত্বনা দিতে শুরু করেন রাইজ। এ সময় পুলিশের সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আল–আমিনের শ্বশুর হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করলে রাইজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আজ রাইজ উদ্দিনকে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন ভাল্লুককান্দি এলাকার বাসিন্দা আল–আমিন।