আ. লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে: জাহাঙ্গীর কবির নানক

রংপুর টাউন হলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: মঈনুল ইসলাম
রংপুর টাউন হলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: মঈনুল ইসলাম

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। সোমবার রংপুর টাউন হলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোমবার বেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ব্যবস্থাপনায় বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে গ্রুপ করার জন্য, দল ভারী করার জন্য যাঁরা বিএনপি-জামায়াতকে দলে ঢুকিয়েছেন, আর যারা ঢুকে পড়েছে, তাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সব স্থান থেকে খুঁজে বের করে ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন করব। এর আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন শেষ করতে চাই। আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা সম্মেলন করবেন ভালো কথা। তবে সেখানে আমরা নিজের লোক খুঁজি, পারলে বাড়ির কাজের লোককেও কমিটিতে রাখতে চাই, তাদের নাম দিতে চাই, এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।’

সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারাও বলেন, ‘আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে। দলে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। হাইব্রিড কিংবা কাউয়াদের বের করে দিতে না পারলে এই দল ডেকে নিয়ে আসবে অশনিসংকেত।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী। এ ছাড়া আট জেলা ও রংপুর মহানগরের একজন করে প্রতিনিধি বক্তব্য দেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা রংপুর বিভাগে প্রতিনিধি সভা করছি। এরপর প্রতিটি জেলায় প্রতিনিধি সভা করব। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের মতামত শুনব, তাঁদের দুঃখ-বেদনার কথা শুনব।’ সবাইকে দলের আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে মতামত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে, নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেটা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয়।’

প্রতিনিধি সভায় রংপুর বিভাগের আট জেলা ও উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।