আড়াইহাজারে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ কুলসুম আক্তার মরিয়মকে (২০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী শাহ আলম পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত কুলসুম উপজেলার বিশ্বনন্দী ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মৃত হক সাবেরের মেয়ে।

কুলসুমের ভাই শেখ ফরিদ বলেন, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে কড়ইতলা গ্রামের শাহ আলমের সঙ্গে মানিকপুর গ্রামের কুলসুম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। বিভিন্ন ঘটনায় কুলসুমকে মারধর করতেন তাঁর স্বামী শাহ আলম। রোববার রাতেও কুলসুমকে মারধর করেন তিনি। এতে কুলসুম অজ্ঞান হয়ে পড়লে শ্বশুর-শাশুড়ি আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কুলসুমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরই পালিয়ে যান শাহ আলম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিব ইসমাইল বলেন, কুলসুমকে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কুলসুমের বড় বোন মিনারা বেগম অভিযোগ করেন, শাহ আলম স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আর এতে তাঁর স্ত্রী বাধা দিলে দুজনের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।

নিহত কুলসুমের চাচা শুক্কুর আলী বলেন, বিয়ের সময় এক লাখ টাকা এবং প্রায় লাখ টাকার ফার্নিচার দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বিয়ের পর থেকে কুলসুমের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতেন তাঁর স্বামী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় কুলসুমের ছয় মাস বয়সী ছেলে জিয়াদের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে শাহ আলম বাঁশ দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত ওই গৃহবধূর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।