দুই জেলায় 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ৫

বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি
বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি

খুলনার কয়রা ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫ জন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র‍্যাব-৬-এর এএসপি তফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনই কয়রায় সুন্দরবন এলাকায় নিহত হন। র‍্যাব ও পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তিরা সবাই ডাকাত দলের সদস্য। র‍্যাবের তথ্যমতে, সুন্দরবনের মধ্যে র‍্যাব–৬-এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই চারজন নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুর ও তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিক রয়েছেন।

তফাজ্জল হোসেন বলেন, র‍্যাবের একটি দল টহল দেওয়ার সময় ডাকাতদের ডাকাতির প্রস্তুতির নেওয়ার তথ্য জানা যায়। এ সময় তাঁরা নৌকা নিয়ে গিয়ে ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। ডাকাতেরা সুন্দরবনের ভেতর পালিয়ে যায় ও র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তৃব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাবের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশি একনলা বন্দুক ও কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের নাদিয়া নামক স্থানে পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে গুলিবিনিময়ে কুদরত আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশের ভাষ্য, আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ১৩–১৪ জনের একদল ডাকাত নাদিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশ তথ্য পায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে আহত অবস্থায় পায় পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁকে কুদরত আলী বলে শনাক্ত করা হয়।

ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, নিহত কুদরতের বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি ডাকাত মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য সামান্য আহত হন।