শিশু তুহিন হত্যায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ

শিশু তুহিন
শিশু তুহিন

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শিশুটির পরিবারের লোকজন জড়িত।

গত রোববার রাতের কোনো এক সময় শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে গতকাল দুপুর থেকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তুহিনের বাবা, চার চাচা, এক চাচি ও এক চাচাতো বোনকে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তুহিনের পরিবারের লোকজন জড়িত। প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। কে, কারা, কখন, কীভাবে তাকে হত্যার করেছে; সবকিছু তারা জেনেছেন।

কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছি কিনা, জানতে চাইলে এসপি মিজানুর রহমান বলেন, এখনো কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।

তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় থাকা তুহিনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজনকে মনিরা বেগমের দায়ে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। তাদের আজকেই আদালতে পাঠানো হবে। অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

শিশু তুহিনের বয়স মাত্র পাঁচ বছর। কদম গাছের ডালে ঝুলছিল তার নিথর দেহ। পেটে ঢোকানো ছিল দুটি লম্বা ছুরি। তার দুটি কান ও যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এই শিশুর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল বাছির। তিনি পেশায় কৃষক।