আবরার হত্যা: দিনাজপুরে আরেক আসামি গ্রেপ্তার

আবরার ফাহাদ। ছবি: সংগৃহীত
আবরার ফাহাদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নসংলগ্ন সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির অফিস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিরামপুর থানার পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করে। নাজমুস জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উত্তরপাড়া হাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক মো. আকরাম হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে জয়পুরহাটের সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান মাইক্রোবাসে করে নাজমুস সাদাতকে নিয়ে আসেন তাঁর অফিসে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামসহ প্রায় সবার সঙ্গে আতাউর রহমানের পরিচয় ছিল। সে সময় আতাউর রহমান আকরামকে বলেন যে নাজমুস তাঁর ভাগনে। গ্রামে একটি ঝামেলায় পড়েছেন। এলাকায় তাঁর থাকাটা নিরাপদ নয়। তাঁকে কয়েকটা দিন এখানে রাখার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন তিনি। এই বলে নাজমুস সাদাতকে রেখে রাতেই সেখান থেকে ফিরে যান আতাউর রহমান। পরে ভোরের দিকে গ্রাম পুলিশদের ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, দরজার সামনে পুলিশ। ঘর থেকে পুলিশ তখন ওই ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে নাজমুস সাদাতের ভারতে যাওয়ার খবর পেয়ে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিরামপুর থানায় আসে। ভোররাত চারটার দিকে থানা-পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে রফিকুল ইসলামের অফিস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যায় পুলিশ।