আর কিছুদিন সহ্য করতে হবে, তারপর গণবিস্ফোরণ: মওদুদ

মওদুদ আহমদ
মওদুদ আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তাঁদের আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এবং এরপর গণবিস্ফোরণ ঘটবে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় সরকারি দলের ছাত্রদের টর্চার সেল রয়েছে বলে দাবি করেন মওদুদ।

২০–দলীয় জোটের উদ্যোগে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তি প্যারোলে বা আইনি প্রক্রিয়ায় না হয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে হবে উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘অনেকে মনে করেন আর কত দিন। এত দিন তো সহ্য করেছি। আমাদের আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে। কিন্তু সময় আসবে। এমন একটি সময় আসবে, যখন এ দেশের এই জালেম সরকারকে উৎখাত করার জন্য বা অপসারণ করবার জন্য গণবিস্ফোরণ ঘটবে বলে আমি মনে করি।’

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান মওদুদ আহমদ । তিনি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সমালোচনা করে বলেন, এদের তাণ্ডবে দেশের মানুষ জর্জরিত। সরকারদলীয় ছাত্রদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেল রয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আবরার হত্যা প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে ভিন্নমত অবলম্বন করলে তাকে হত্যা করতে তারা কার্পণ্য করে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কথা উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের টর্চার সেল রয়েছে এবং তারা চাঁদাবাজি করে।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সমালোচনা করে বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হবে আত্মহত্যার শামিল। বর্তমানে ছাত্ররাজনীতি নেই বলে ছাত্ররাজনীতির নামে অপকর্ম হচ্ছে। এ দেশে ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে গয়েশ্বর অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্ররাজনীতির দরকার আছে। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্ররাজনীতিকে দোষারোপ করা ঠিক না।

আজকের অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এ সরকার সব ক্ষেত্রে সম্রাট জন্ম দিয়েছে। বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে জানান।

জামায়াতে ইসলামীর আমির মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, সরকার দেশবিরোধী চুক্তি করেছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।