অভিযানের সময় ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা, জেলেদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ

মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালানোর সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা দিয়ে জেলেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরার পাইনপারা এলাকায় পদ্মা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশ দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহাববুল হককে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর জাজিরার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭০ জন জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১৭০ জেলেকে আটক করা হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ শিকার করা হচ্ছে। মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাজিরার পাইনপারা এলাকায় অভিযানে যান জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুল হক ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার। আটটি স্পিডবোটে করে জেলেরা নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের স্পিডবোট ঘিরে ফেলেন এবং তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ জেলেদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়েন।

খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড নিয়ে নদীতে অভিযানে যান জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। এ সময় মা ইলিশ শিকার করার অপরাধে ৭০ জেলেকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে একটি স্পিডবোট। আর জব্দ করা ২৫টি নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। জাজিরায় ক্ষুব্ধ জেলেরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা করেছে। যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধ মামলা করা হবে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১৭০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের মৎস্য সংরক্ষণ আইনে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।’