'নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত নয়'

সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করে প্রকাশিত নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

নতুন বেতনকাঠামোর সুপারিশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গত আগস্টে একটি রিট করে। এর ধারাবাহিকতায় নোয়াবের করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

নবম ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক, তথ্যসচিব, শ্রমসচিব ও নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করে গত ১২ সেপ্টেম্বর ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। তবে এর আগে নোয়াবের করা রিট নিষ্পত্তির আগে ওই গেজেট প্রকাশ নিয়ে গতকাল সোমবার সম্পূরক আবেদনটি করে নোয়াব, যার ওপর আজ শুনানি হয়। আদালতে নোয়াবের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

পরে ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, যে রোয়েদাদের ওপর ভিত্তি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, সেই রোয়াদাদ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া আইনসম্মত ছিল না এবং এ বিষয় নিয়ে একাধিক রুল শুনানির অপেক্ষায়। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে গেজেট প্রকাশ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলে সম্পূরক এই আবেদন করা হয়।

নতুন বেতনকাঠামোর সুপারিশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৫ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করে নোয়াব। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দিয়ে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের চূড়ান্ত সুপারিশ বাস্তবায়নের গেজেট প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে তথ্যসচিব, শ্রমসচিবসহ অন্যদের পক্ষে গত ৮ আগস্ট আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চেম্বার আদালত হয়ে এই আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে গত ২০ আগস্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নোয়াব আবেদন করে, যা গত ৯ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত নোয়াবের আবেদনটি ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।