ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি, চাকার নিচে পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

কলেজে যাওয়ার জন্য বাসে উঠতে চেয়েছিলেন কলেজছাত্র হাবিবুর রহমান (১৯)। বাসে ওঠার সময় ভাড়া নিয়ে বাসচালকের সহকারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। একপর্যায়ে সহকারীর ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান হাবিবুর। এ সময় বাসটি হাবিবুরের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি।

গাজীপুরের টঙ্গী মিলগেট এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুরের বাবার নাম সেলিম মিয়া। পরে হাবিবুরের সহপাঠী ও পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে মিলগেট এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাবিবুর। এ সময় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাস এলে সেটিতে ওঠার চেষ্টা করেন তিনি। বাসে ওঠার সময় চালকের সহকারী তাঁর পথ আটকান। হাবিবুর ছাত্র ভাড়া (অর্ধেক ভাড়া) দিতে চাইলে চালকের সহকারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। একপর্যায়ে সহকারীর ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান হাবিবুর। এ সময় বাসটি তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে চলে গেলে পা থেঁতলে যায় হাবিবুরের। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কলেজছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নিহত ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ অনুযায়ী মামলা নেওয়া হবে।