গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করতেন ব্যাংক কর্মকর্তা

তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেক জালিয়াতি করে একে একে তিনি আত্মসাৎ করেছেন গ্রাহকের ১১ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মো. ইফতেখারুল কবির। আর এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন আরও সাতজন। তাঁদের বিরুদ্ধে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

গত ৮ আগস্ট পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় ইফতেখারুল কবির এখন জেলে আছেন। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় দুটি মামলা হয়েছিল। বাকি আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হননি। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি জানান, গত সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ এই আটটি মামলা করেন দুদকের চার কর্মকর্তা। প্রতিটি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে ইফতেখারুল কবিরকে। বাকি আসামিরা হলেন সামিউল সাহেদ, জাকির হোসেন, মাহমুদুল হাসান, আবদুল মাবুদ, ফারজানা হোসেন, আজম চৌধুরী ও খালেদ সাইফুল্লাহ। ইফতেখারুল কবির গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ইস্টার্ণ ব্যাংকের ও আর নিজাম রোড শাখায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি চান্দগাঁও শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। 

আটটি মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে গ্রাহকের আগে থেকে রেখে দেওয়া চেক জালিয়াতি করে নগদায়ন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে চেক বই ইস্যু করেও টাকা আত্মসাৎ করেন। 

মামলার বাদীদের একজন দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১–এর উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।