হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং তুলে দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত সোমবার গৌরীপুর গ্রামের সড়কে।  ছবি: প্রথম আলো
হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং তুলে দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত সোমবার গৌরীপুর গ্রামের সড়কে। ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর সড়কের নির্মাণকাজ গত রোববার শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে হাত দিয়ে টানলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভোগতেরা-বিশ্বনাথপুর সড়কসহ পাশের গৌরীপুর এলাকায় এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। প্রায় ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি পান মৌলভীবাজার সদরের ঠিকাদার নোমান আহমদ। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ২৮ মের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। এরপর বড়লেখা উপজেলার ঠিকাদার কামাল হোসেনকে কাজটি শেষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১০ অক্টোবর গৌরীপুর এলাকায় ১৯৬ মিটার জায়গায় পাকার কাজ শুরু হয়। গত রোববার তা শেষ হয়।

সরেজমিনে গত সোমবার বিকেলে গৌরীপুরে গেলে স্থাীয়রা অভিযোগ করেন, কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা। সেখানে তা ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার হয়েছে। বিটুমিনও কম দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান। 

জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গৌরীপুরে যান। গত সোমবার উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও তিনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ঠিকাদার কামাল হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। সড়কের কাজে ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রধান জহির মিয়া বলেন, ঠিকাদারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেছেন। 

এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ীই কাজ হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার। তবে স্থানভেদে এক-দুই মিলিমিটার এদিক-সেদিক হতে পারে।