সোনাগাজীতে ডাকাত-পুলিশ 'গোলাগুলিতে' একজন নিহত

ফেনীর সোনাগাজীতে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের ‘গোলাগুলিতে’ ইকবাল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, নিহত যুবক আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার ও ৩৭ মামলার আসামি। এ সময় পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠানবাড়ি সংলগ্ন সোনাগাজী-মুহুরী সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, তিনটি গুলি উদ্ধার করেছে।

পুলিশের আহত সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো.নুরুল করিম, পুলিশ কনস্টেবল আবুল খায়ের ও আবদুল মান্নান। আহত পুলিশ সদস্যরা সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে উপজেলার ছাড়াইতকান্দি এলাকায় ১৪ থেকে ১৫ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা-পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েকটি পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ইকবাল হোসেন নামের একজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আহত তিন পুলিশ সদস্যের আঘাত সামান্য হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলা ডিবির ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাকাত ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় পৃথক তিনটি মামলা করবে। তাঁর দাবি, ডাকাতদের গুলিতে ইকবাল নিহত হয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলিতে এক ডাকাত নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ইকবালের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ডাকাতির অভিযোগে ৩৭টি মামলা আছে।