ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন হবে কি না, জানা যাবে ৩ নভেম্বর

সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ফাইল ছবি
সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন মিলবে কি না, তা জানা যাবে ৩ নভেম্বর। জামিন চেয়ে মোয়াজ্জেমের করা আপিলের ওপর আজ বুধবার শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এ তারিখ ধার্য করেন।

ওই মামলায় গত ১৭ জুলাই নিম্ন আদালতে ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন নামঞ্জুর হয়। এর বিরুদ্ধে ৩১ জুলাই হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান তিনি। এরপর ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট ওসি মোয়াজ্জেমের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আপিলের ওপর শুনানি হয়।

আদালতে ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, রানা কাওসার ও শাহীন হাওলাদার। অন্যদিকে বাদী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন।

রানা কাওসার প্রথম আলোকে বলেন, জামিন চেয়ে ওসি মোয়াজ্জেমের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট আগামী ৩ নভেম্বর আদেশের তারিখ ধার্য করেছেন।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান।

থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুই দিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর গ্রেপ্তার হন তিনি।