এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনের হুমকি শিক্ষকদের

এমপিও ভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে শিক্ষকদের অবস্থান। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৬ অক্টোবর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
এমপিও ভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে শিক্ষকদের অবস্থান। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৬ অক্টোবর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

স্বীকৃত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (নন-এমপিও) শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষকেরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী প্রথম আলোকে বলেন, দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশন শুরু করবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বীকৃতি পেয়েছিল, সেই সময়ের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী যেন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও সায় দেওয়া হয়েছে। এখন যেকোনো সময় এমপিওভুক্তির ঘোষণা হতে পারে।

এমপিওভুক্ত হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মাসে মূল বেতন ও কিছু ভাতা পান। বর্তমানে সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় পাঁচ লাখ। স্বীকৃতি পেলেও এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। আর স্বীকৃতি না পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে আরও কয়েক হাজার।

সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে।