আবরার হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে, জানালেন আইনমন্ত্রী

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ঢাকা, ১৬ অক্টোবর। ছবি: ইউএনবি
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ঢাকা, ১৬ অক্টোবর। ছবি: ইউএনবি

বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত গ্রহণ করার জন্য একটি প্রসিকিউশন টিম (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দল) গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সচিবালয়ে আজ বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট দ্রুত রিসিভ করার জন্য একটি প্রসিকিউশন টিম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। যেই মুহূর্তে আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে, সেই মুহূর্তেই বিচারকাজ শুরু করে দ্রুত শেষ করা হবে।’

আবরার হত্যা মামলার বিচারকাজ কবে শুরু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো ফৌজদারি মামলার এজাহার দেওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়। সে অনুযায়ী তদন্ত হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেককে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকে অপরাধ স্বীকার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন দ্রুত সময়ে এ মামলার চার্জশিট দেবেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে জন্য আমরা আমাদের প্রসিকিউশন প্রস্তুত করছি।’

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করেন আবরারের সহপাঠীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁদের দাবির মুখে ১১ অক্টোবর বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

মঙ্গলবার আবরারের হত্যাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।