বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় অমিত-তাবাখখারুল আবার রিমান্ডে

খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর। ছবি: প্রথম আলো
খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও দুই আসামিকে আবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন অমিত সাহা ও খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর। কারাগারে আছেন হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

আসামি অমিত সাহা ও খন্দকার তাবাখখারুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পুনরায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন আসামিরা। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে ফেলে নির্যাতন করা হয়, সেই কক্ষ অমিত সাহার। আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে অমিত ও তাবাখখারুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অন্যদিকে, পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অমিত সাহা। ছবি: প্রথম আলো
অমিত সাহা। ছবি: প্রথম আলো

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। ৬ অক্টোবর তাঁকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ইতিমধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকারসহ ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামি ইফতি মোশাররফ বলেছেন, আবরারের ডিভাইসগুলো তাঁরা যখন চেক করছিলেন, তখন মেহেদী হাসান এবং বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম ওরফে জিয়ন কক্ষে আসেন। মেহেদী তাঁদের বুয়েটে কারা কারা শিবির করে, তা আবরারের কাছ থেকে বের করার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় মেহেদী বেশ কয়েকটি চড় মারেন আবরারকে।

জবানবন্দিতে ইফতি মোশাররফ আদালতকে আরও বলেন, অনিক সরকার স্ট্যাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে মারতে থাকেন। এতে আবরার উল্টাপাল্টা কিছু নাম বলতে শুরু করেন। তখন মেফতাহুল আবরারকে চড় মারেন এবং স্ট্যাম্প দিয়ে হাঁটুতে বাড়ি দেন।