শিশু তুহিন হত্যা: আদালতে জবানবন্দির পর কারাগারে বাবা

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরকে। সুনামগঞ্জ, ১৮ অক্টোবর। ছবি: খলিল রহমান
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরকে। সুনামগঞ্জ, ১৮ অক্টোবর। ছবি: খলিল রহমান

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তার বাবা আবদুল বাছির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সুনামগঞ্জের বিচারিক হাকিম মো. খালেদ মিয়ার আদালতে আজ শুক্রবার বিকেলে জবানবন্দি দেন তিনি।

পুলিশ জানায়, তিন দিনের রিমান্ড শেষে আবদুল বাছির জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় শুক্রবার বিকেল তিনটায় তাঁকে আদালতে আনা হয়। পরে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। আবদুল বাছিরের সঙ্গে তাঁর দুই ভাই আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলীও রিমান্ডে ছিলেন। তবে তাঁরা জবানবন্দি দেননি। পরে তিনজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবদুল বাছির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আদালতে তিনি কী বলেছেন সেটি আমরা জানি না। পরে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

তুহিনের মা মনিরা বেগমের দায়ের করা মামলায় গত মঙ্গলবার তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, তিন চাচা আবদুল মছব্বির, জমসেদ আলী ও নাসির মিয়া এবং চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ওই দিনই আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নাসির মিয়া ও শাহরিয়ার। বাকি তিনজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে গত সোমবার সকালে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিশু তুহিনকে। কদমগাছের ডালে ঝুলছিল তার নিথর দেহ। তার কান দুটি কাটা ছিল, পেটে ঢোকানো ছিল দুটি ছুরি। তদন্তের পর পুলিশের দাবি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের লোকজনই তুহিনকে হত্যা করে।