ঐক্যফ্রন্ট এখন 'বিগতযৌবনা': তথ্যমন্ত্রী

তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম নগর শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম, ১৯ অক্টোবর। ছবি: বাসস
তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম নগর শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম, ১৯ অক্টোবর। ছবি: বাসস

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে বলেছেন, রাজনীতির মাঠে সংগঠনটি এখন বিগতযৌবনা। এখন তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। রাজনীতিতে যেই যশ-প্রতিপত্তি ছিল, সেটা হারিয়ে গেছে। তারা যে কথা বলছেন, তা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।

আজ শনিবার চট্টগ্রাম নগরের জে এম সেন হল মাঠে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম নগর শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মাঠে নামায় ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁদের ব্যানারে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ হচ্ছে, তাঁরা মাঠে নেমেছেন। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আমাদের শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। কিন্তু সভা-সমাবেশে গিয়ে তাঁরা ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেন না। সেই জন্য খড়কুটো ধরে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা কতক্ষণ কোটা আন্দোলন নিয়ে, কখনো নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ঘিরে, কখনো আবার হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসব চেষ্টার কোনোটাই হালে পানি পাচ্ছে না।’

তথ্যমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বলেন, ‘আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদে ও রাজপথে আমাদের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করুক, আমরা সেটা চাই। এই সমালোচনা আমাদের পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু তারা যে অহেতুক সমালোচনা করে, সেটা রাজনীতি দেশ ও মানুষের জন্য শুভ নয়।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনকে সামনে রেখে আমরা দলকে পরিষ্কার করার কাজে হাত দিয়েছি। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো থেকেও আগাছা-পরগাছাদের দূর করতে হবে। কিছু কিছু আছে শুধু ফেসবুকে রাজনীতি করেন, ছবি একটা তুলবে সেটা পোস্ট দেবে। এদের জন্যও আমরা অতিষ্ঠ। এদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জোরে ভাষণ দিলাম। আমাকে খুশি করতে আপনারা আরও জোরে ভাই ভাই স্লোগান তুললেন। এ ধরনের রাজনীতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর কর্মী হতে হলে তাঁর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করতে হবে।’

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দলে কোনো অপরাধী, মাদকাসক্ত, জুয়াড়ি কিংবা ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর জায়গা দেওয়া যাবে না। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দলের যত অঙ্গ–সংগঠন আছে, প্রতিটি সংগঠনেই এই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণা করেছেন। সেটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’