রোবট খেলল ফুটবল

ফুটবল খেলছে রোবট
ফুটবল খেলছে রোবট

প্রতিপক্ষ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে গোলবারের দিকে ছুটে চলা। দর্শকদের শ্বাসরুদ্ধকর প্রতীক্ষা—গোল হবে তো? ফুটবলার আর দর্শকদের এমন উত্তেজনার মুহূর্ত ফুটবল মাঠে হরহামেশাই দেখা যায়। ঠিক যেন সেই চিত্রই দেখা গেল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)। তবে পার্থক্য বলতে, এখানে ফুটবলাররা রক্তমাংসের নয়, ‘তারা’ সবাই ছিল রোবট।

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা টেকনো ক্র্যাজ—২০১৯-এর মঞ্চে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন এমন রোমাঞ্চকর রোবো সকার। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবট গবেষণাধর্মী সংগঠন ‘অ্যান্ড্রোমিডা সেপস অ্যান্ড রোবটিকস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (অ্যাসরো)।’ 

প্রতিযোগিতার অন্যান্য আকর্ষণ ছিল পোস্টার প্রদর্শনী ও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী আইডিয়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চুয়েটে হাজির হন। ওই দিন বেলা আড়াইটায় গবেষণা ও একাডেমিক পত্রিকা প্রকাশনাবিষয়ক ‘রিসার্চ অ্যান্ড জার্নাল পাবলিকেশনস’ এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কিত ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ শীর্ষক সেমিনারের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেমিনারে বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সজল চন্দ্র বণিক এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস কৌশল বিভাগের প্রভাষক জিতু প্রকাশ ধর। 

আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ ছিল শেষ দিনে। এদিন রোবটের ফুটবল খেলা (রোবো-সকার), পোস্টার প্রদর্শনী ও গবেষণাধর্মী আইডিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই রোবটের ফুটবল খেলায় জয়ী হয়েছে চুয়েটের ‘খেপা ১.৭ ‘। এরপর পোস্টার প্রদর্শনী এবং আইডিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারক ছিলেন মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রহমান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের জিতু প্রকাশ ধর এবং একই বিভাগের কামরুল হাসান। পোস্টার প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘বিএআইইউএসটি-সপার্ক। আইডিয়া প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে চুয়েটের ‘টেকক্রেজ’। 

পরে শুক্রবার রাতে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় প্রতিযোগিতা। এতে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উপপরিচালক আরাফাত রহমান এবং উপপরিচালক হুমায়ন কবির। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রযুক্তির মেলবন্ধন এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করার চেষ্টা থেকেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান অ্যাসরোর সভাপতি এহেসানুল হক।