কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় জন্মের পরেই ফুটফুটে শিশুটিকে ধানখেতে ফেলে রাখা হয়। সেই ফেলে যাওয়া শিশুটির হাসপাতালে সবার কাছে চোখের মণি। পরম মমতা আর আদরযত্ন দিয়ে তাকে আগলে রেখেছে সবাই। শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আজ রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন, ধানখেতে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির ব্যাপারে আজ কিশোরগঞ্জ আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. বদরুল হাসান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেই থেকে শিশুটিকে পরম মমতা, যত্ন আর ভালোবাসায় লালনপালন করছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা। শিশুটির নিষ্পাপ ও মায়াবী চেহারা সবাইকে আকৃষ্ট করছে। তিনি নিজেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন শিশুটির।

মো. বদরুল হাসান বলেন, জন্মের পরেই মায়ের কোল হারানো শিশুটি এখন সবার আদরের। হাসপাতালে সবার চোখের মণি সে। চিকিৎসক, সেবিকাদের পরম যত্নে শিশুটি এখন সুস্থ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ধানখেতে ফেলে রেখে যাওয়া এই শিশুটিকে ইতিমধ্যে অনেকে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে তাড়াইল উপজেলার পুরুরা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সুফিয়া খাতুন নামে এক নারী তাঁর বাসার পাশের ধানখেতে কুড়িয়ে পান ছেলে শিশুটিকে। ধান খেতের আলের পাশে কে বা কারা একদিন বা দেড়দিন বয়সের ফুটফুটে ছেলে শিশুকে কাপড় মুড়িয়ে ফেলে রেখে যান। সুফিয়া শিশুটিকে কোলে তুলে নিজের ঘরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে আসে।