গ্রামের মানুষের সেবা করার স্বপ্ন অধরাই রইল

মো. শাহ আলম
মো. শাহ আলম

পরিবারের মত উপেক্ষা করে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। গ্রামের অসুস্থ শিশুদের জন্য একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল তাঁর। স্বপ্নের হাসপাতালও বানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই গ্রামের অদূরে দুষ্কৃতকারীরা থামিয়ে দেয় তাঁর জীবনপ্রদীপ।

চট্টগ্রামের কুমিরায় শুক্রবার সকালে নিথর যে দেহটি পাওয়া যায়, তিনি মো. শাহ আলম (৫৮)। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। ৩০ বছর ধরে সৌদি আরবে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ১০ মাস ধরে নিজের গ্রামের শিশুদের কম খরচে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন শাহ আলম। প্রতিদিন সকালে তিনি চট্টগ্রাম নগরের চান্দগঁাও আবাসিক এলাকার বাসা থেকে সীতাকুণ্ডের ছোটকুমিরা বাজারে স্থাপিত ‘বেবি কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে নিজের গড়া ক্লিনিকে গ্রামের শিশুদের চিকিৎসা দিতেন। চিকিৎসাসেবা শেষে রাতেই ফিরে যেতেন পরিবারের কাছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাসেবা দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের বাসায় ফেরার সময় খুন হন শাহ আলম। গত শুক্রবার কুমিরা বাইপাস সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেলে নিহত শাহ আলমের বড় ভাই শামছুল আলম বলেন, প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে দেশে ফেরেন। কিন্তু চলাফেরা করতেন একেবারে সাদামাটাভাবে। যাতায়াত করতেন লোকাল বাস বা টেম্পোতে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজা প্রথম আলোকে বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসক হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি আছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না। তবে হত্যাকারীরা আইনের আওতায় দ্রুত আসবে বলে আশাবাদী।

হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পার হলেও সীতাকুণ্ড থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহত চিকিৎসকের ছেলে কিংবা স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।