জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য ইসিকে জানানোর আইন চান সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

কোনো শিশু জন্মের পর কিংবা কেউ মারা গেলে সেই তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে থানা নির্বাচন অফিসে জানানোর বিষয়ে আইন চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভোটার তালিকা হালনাগাদসংক্রান্ত এক কর্মশালায় আজ রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) সঠিক বয়স লিপিবদ্ধ করা ও মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এখন বড় একটি সমস্যা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য শিশুর জন্মের পরপরই এবং কেউ মারা গেলে সেই তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক বিবৃতি আকারে জানানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। ব্রিটিশ আমলে একটা নিয়ম ছিল—কেউ মারা গেলে চৌকিদারকে থানায় গিয়ে মৌখিক বিবৃতি দিতে হতো। কোনো বাড়িতে কোনো শিশুর জন্ম হলেও একইভাবে তথ্য দিতে হতো। থানায় এখন সেটা বলা সম্ভব কি না জানি না। তবে চৌকিদার থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দিতে পারেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার।’

ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এখন অনেক সময় জীবিত ভোটার মৃত হয়ে যায়। থানা নির্বাচন অফিসে মৌখিক বিবৃতি দেওয়ার নিয়ম চালু হলে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে।

সিইসি বলেন, দেশে জন্মনিবন্ধন কার্যকর নয়। যে কারণে ৪২ বছর বয়সের লোক ২৪ বছর বয়সী, আর ২৪ বছর বয়সের লোক ৪২ বছর বয়সী হতে চায়। এতে দেখা যায়, ছেলের বয়স বাবার বয়সের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে।